মানবপাচারের অভিযোগে মো. মিলন হোসেন নামে একজন বাংলাদেশিকে ৪৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। মঙ্গলবার দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে।
এতে আরও বলা হয়, মিলন হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের উদ্দেশ্যে তাপাচুলা নামে মেক্সিকোর একটি জায়গায় হোটেলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের রেখে দিতেন। পরে তাপাচুলা থেকে মেক্সিকোর মন্টেরি পর্যন্ত তাদের প্লেনের টিকিট কেটে দিতেন। মন্টেরি থেকে মোক্তার হোসেন নামে আরেকজন তাদের যুক্তরাষ্ট্র যেতে সহায়তা করতেন।
গোটা বিষয়টি তদন্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ৪১ বছর বয়সী বাংলাদেশি মিলন হোসেন অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশ, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকো থেকে অসংখ্য নথিবিহীন মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি মেক্সিকোর তাপাচুলা এলাকায় বসবাস করতেন। মানব পাচারকারীদের সহায়তা এবং ষড়যন্ত্রের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।
মিলন হোসে তাপাচুলা এলাকায় থেকে মানবপাচার অভিযান পরিচালনা করতেন এবং সেখানে তার একটি হোটেল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর আগে লোকজনকে ওই হোটেলে রাখতেন তিনি। তাপাচুলা থেকে মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহর মনটেরিতে লোকজনকে পাঠাতেন এবং তাদের টিকেট সরবরাহ এবং অন্যান্য সহায়তা করতেন মিলন। মনটেরি থেকে মোক্তার হোসেন নামের আরেক বাংলাদেশি সহযোগী লোকজনকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাহায্য করতেন।
দেশটির বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেনেথ এ পোলাইট জুনিয়র বলেন, মানব পাচারের ষড়যন্ত্র বৈশ্বিক স্তরে পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদের জীবন বিপন্ন করে তোলে।